
নিজস্ব প্রতিবেদক: নভেম্বরের মাঝামাঝি এসএসসি ও ডিসেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এমনটা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অসহায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। মন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে পরীক্ষা নেয়া হবে। শিক্ষার্থীদের যে সিলেবাস দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী পরীক্ষা হবে।
দেশে গত বছরের মার্চে করোনা সংক্রমণ দেখা দিলে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে থাকায় আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হয়নি। ফলে গত বছরের এইচএসসি পরীক্ষা নিতে পারেনি সরকার। জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করে এইচএসসির ফল দেওয়া হয়।
এবারও কয়েক দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চেষ্টা চালিয়েও শেষ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। ফলে পাঠদান কর্মসূচিতেও ব্যাঘাত ঘটেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করে পরবর্তী দুই সপ্তাহ পর এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এসএসসি ও সমমানের জন্য ৬০ দিন এবং এইচএসসি ও সমমানের জন্য ৮৪ দিনে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করার পর দুই সপ্তাহ সময় দিয়ে দুই পাবলিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে তা এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত সরকারও পরীক্ষা নিতে চায় না।
তবে দেরিতে হলেও এবারের দুই পাবলিক পরীক্ষা নেওয়ার কথা জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
দেশে মহামারি করোনার দ্বিতীয় আঘাতের কারণে চলতি বছরের জুনে এসএসসি ও সমমান এবং জুলাই-আগস্টে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেওয়ার কথা থাকলেও নেওয়া সম্ভব হয়নি। করোনা নতুন ধরন ডেল্টা আঘাত হেনেছে দেশে। যদিও সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে, এবার উভয় পরীক্ষায় গ্রুপভিত্তিক নৈর্বাচনিক তিন বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হবে। আর পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হলে, অ্যাসাইনমেন্ট ও সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ফলাফল প্রণয়ন করা হবে।
এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার থেকে এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হয়েছে। আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে। ফরম পূরণের ফি পরিশোধের জন্য আগামী ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সময় রাখা হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: