লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগের চার নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ : আহত ৬

স্টাফ রিপোর্টার | ১৩ এপ্রিল ২০২৪ ১০:৪৯ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৪ ১১:০২

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশিত: ১৩ এপ্রিল ২০২৪ ১০:৪৯

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে ওয়াজ মাহফিল থেকে ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে ছাত্রলীগের চার নেতা-কর্মীকে গুলি ও দুইজনকে কুপিয়ে আহত করেছে।

শুক্রবার (১২ মার্চ) রাত ২টার দিকে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড় এলাকায় ঘটনা ঘটে।

এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। এই হামলার জন্য চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম মাসুদুর রহমান মাসুদ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু ও তার অনুসারীদের দায়ী করেছেন।


শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মফিজ উদ্দিন হামলার বিষয়টি নাগরিক জার্নালকে নিশ্চিত করেন।

আহতরা হলেন- ছাত্রলীগ নেতা এম সজীব ,ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুল পাটওয়ারী, সাইফুল ইসলাম জয়, রাফি ও রাব্বী, জয়। আহতরা সবাই চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম মাসুদুর রহমান মাসুদের অনুসারী।

চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ মুঠোফোনে জানান, রাত দেড়টার দিকে এম সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, রাফি, রাব্বীসহ তারা ছয়জন মাসুদকে মাহফিল শেষে চন্দ্রগঞ্জ বাজারে পৌঁছে দিয়ে যায়। ফেরার পথে যৈদের পুকুরপাড় বাজারের পাশে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে অতর্কিত হামলা ও গুলি চালায়। পরে খবর পেয়ে স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ সময় সজীব, সাইফুল ও রাফির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন চিকিৎসক।

আহত জয়সহ অন্যান্যদেরকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে এম সজিবকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দ্বিতীয় রমজান থেকেই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুর সঙ্গে আমার বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরেই আমার লোকজনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার চাই।’

অভিযোগ অস্বীকার করে চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু মোবাইল ফোনে বলেন, ‘সদরের এমপি গোলাম ফারুক পিংকুসহ আমরা অনেকেই হযরত আব্দুল হক (রা.) ছোট মিয়ার মাজারে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে যাই। রাত সাড়ে ১১টায় উনাকে বিদায় দিয়ে আমি বাসায় চলে আসি। মাসুদসহ তাদের সঙ্গে আমার দূরত্ব আছে এটা সঠিক। কিন্তু হামলার সঙ্গে আমি বা আমার কোনো লোকজন জড়িত নয়। আমাদের দ্বন্দ্বের সুযোগে বিএনপির সন্ত্রাসীরাও এ ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে। আমি সঠিক তদন্ত দাবি করছি।’

চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছাবির আহম্মেদ ঘটনার পর আহতদের দেখতে সদর হাসপাতালে যান। এরপর তিনি ভোর ৫টার দিকে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সকাল ১০টায় বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দেন।

চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মফিজ উদ্দিন খবরের কাগজকে বলেন, হামলা-মারামারি ও গুলিবিদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলসহ এলাকায় টহল জোরদার করেছে। এ ঘটনায় মামলা হলে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

ঢাকা, ১৯ ফেব্রুয়ারি (নাগরিকজার্নাল.কম)// এসএইচএফ

 




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top